প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণ সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
দীপু মনি জানান, হুট করে নয়, বরং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোববার (৯ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আমাদের মিটিং আছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যায়, সে চেষ্টাই করছি আমরা। তবে এটাও ঠিক, যদি মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে সংক্রমণ বাড়বে, তখন আমরা বন্ধ করে দেব হয়তো।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রেখে সংক্রমণ কীভাবে এড়াতে পারি। যারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে বা হয়ে যাচ্ছে তারা গুজব ছড়াচ্ছেন। সব সময়ই এমন গুজব ছড়ানো হয়। আপনারা গুজবে কান দেবেন না।
শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক এই আশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতেই হয়, তখন আমরা ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেবো। কিন্তু যতক্ষণ সে প্রয়োজন অনুভব না হবে, আমরা বন্ধ করব না। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।